এই ব্লগটি সন্ধান করুন

শুক্রবার, ২৭ নভেম্বর, ২০১৫

দীর্ঘ কবিতা

‘প্রতিটি মানুষই নারসিসাস হয়ে জন্ম নেয়।-
তাই আমি এবং সকলেই অর্থাৎ প্রত্যেকেই চোখের গভীরে নিজের সৌন্দর্যের
প্রতিফলন দেখতে পায়।’
উজ্জ্বল আলোর নিচে পেরিয়ে আসা আরো কিছু মাইলফলক
যা হ্রদের বিকেলে এসে স্নান করিয়ে যায় সমস্ত ফসিলস!
আমি যথেষ্ট পরিমানে মদ্যপান করিনা-
তবুও তোমাকে ভুলে যাবার সন্ধায়,কবিতারা মার্জিনবদ্ধ কফিনে
শুয়ে পরে-যদিও মৃত্যু হয়নি তখনো!
মৃত মৃত জানালা।
রেখা গুলো পুড়ে গেছে হেমন্তে।
৩টি ব্যক্তিগত আকাশ ভেঙ্গে যায় নিজের ছায়ার পদতলে!
তবুও হিমঘরে-হিমাদ্রী রাতে কবিতা ভালোবাসা ভালো,
যদিও মধ্যরাতের গুমোট সাইরেন জাগিয়ে তুলতে পারবেনা শহুরে দেহকে।
গণতন্ত্রের লাশ-বোকার মতো মানুষের কথার প্রতিধ্বনি করতে পারবে শুধু।
৩টি শীতকালের সূর্য ঢেকে দিবে বিশাদক্রান্ত রাত-
সম্পূর্ণ হেরে যাবার পূর্বাহ্ণে। এবং মৃত্যুর কোমল রাত খুঁড়ে বেড়িয়ে আসবে ১৩ফিট লম্বা সাপ।
কালো দাগ গুলি দেয়ালের বিস্ময়-
এইরূপ কথা অবশ্য কখনো বোলবে না ভবিষ্যৎ বক্তা!
মিলনে নারীরা পুরুষের চেয়ে বেশী পুলকিত হয় এবং
সব নারীরা অবশ্য এই সত্য মেনে নিতে চাইবেনা!
-এই বোলে মরে গেলেন টাইরেসিয়াস।
কোমল দেহবল্লবী,অনাবৃত স্তনযুগল আর লাল ঠোঁট যেন
কামনার প্রতীক!
এই ভেবে,নারসিসাসের মতো সৌন্দর্যের ব্রতী হয়ে শুয়ে পড়ি প্রাক্তন প্রেমিকার
শরীরে।নক্ষত্রেরা হাতে হাত রেখে নিয়ে যাবে ছায়াপথের দিকে
এবং একটি বর্ণহীন ছাইদানী উড়ে যাবে সংবিধানের লাশ কাঁধে নিয়ে কবরের দিকে।
-সংক্ষেপিত


-রিফাত বিন নুরুল
২৮/১১/১৫
রাতঃ১.৪৫
-ধানমন্ডি,শঙ্কর।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন