প্যারিসপ্রিয় প্রেমিকার চোখে তাকিয়ে স্বপ্ন দেখা হতো বহু বছর
আইফেলের প্রজ্বলিত আলোয়, আমরা পাড়ি দিতাম সময়।
আজ-সেখানে গ্লাসে গ্লাসে পান করছে মৃত্যু, রক্তের ম্লান কণ্ঠস্বর।
মৃত্যুকে যারা ভালোবাসে তারা বরং প্যারিসে যাক-
দেখে আসুক কান্নারত শিশুর আর্তনাদ।
মৃত মায়ের স্তন পাড়িয়ে যাচ্ছে কত শকুন !
তারা বরং চোখ খুলে হাঁটতে পারে-
এতো মৃত্যু!তাদের ভালো লাগবেনা।
রক্তের স্লোগানে স্লোগানে ভেসে যাচ্ছে প্যারিস, কাঁদছে কবি!
আমরা বরং এই শোকে চার্চে প্রার্থনারত কান্না করতে পারি।
পৃথিবীতে হোক প্রবল বর্ষণ ,
শোকে সাতদিন কান্না করুক পৃথিবী।
হাসপাতালে এতো মৃত্যু!
হাহাকার আর আর্তনা্দের মুখ!
হিমোগ্লোবিনের বিষকরন ছড়িয়ে পড়েছে সমস্ত দেশে,
শহুরে চোখ গুলো তাকিয়ে আছে আকাশের দিকে!
কোথায় থাকেন ঈশ্বর?
খুজে বের করুন উনাকে!
মহামান্য প্রভু,
আমরা পৃথিবীতে শান্তি চাই।এক আত্মায় প্রান দিন সকলের।
আমরা বুলেট চাই না,
কবিতা চাই।
আমরা মৃত্যু চাই না,
আমরা বাঁচতে চাই, বাঁচতে চাই।
মৃত শিশুর মুখে মায়ের অশ্রু, বাবার কাঁধে সন্তানের লাশ
সন্তানের পাশে মৃত পরিবার!
ঈশ্বর,আপনি ভাবতে পারেন এমন দৃশ্য?
কি লাভ এতো ধর্মের?
এতো শিক্ষার?
এতো সংস্থার?
এতো প্রেমের?
এতো প্রযুক্তির?
আমি ভাবতে পারিনা,আমি চাইনা ভাবতে!
বস্ততঃআমাদের তো মনুষ্যত্ব নেই।মানুষ ব্যতীত অন্য প্রাণীর যতটুকু থাকে।
হে ধর্মাবতার,
দেখুন,আপনার পৃথিবী কেমন থাকে।
আমরা বুলেট চাইনা,
কবিতা চাই।
চাই,কোনো কবি লিখুক মানবতার কবিতা।
আহতের গাঁয়ে লিখে দিয়ে আসুক পৃথিবীসম আয়ু,
নিহতের গাঁয়ে লিখে দিয়ে আসুক স্বর্গের সুখ।
আমারা মৃত্যু চাই না।
এক মুঠো জীবন নিয়ে বাঁচতে চাই।
আমি কেনো লিখছি-!
আমি কি পারবো ফিরিয়ে দিতে নবজাতকের প্রান?
আমি কি পারবো ফিরিয়ে দিতে মায়ের হাসিমুখ?
আমি কি পারবো ফিরিয়ে দিতে প্রেমিক যুগলের প্রেম?
আমি কি পারবো ফিরিয়ে দিতে আলোময় সন্ধ্যা?
আমি কি পারবো ফিরিয়ে দিতে নিহতের প্রান?
হে মহামান্য,
আমার আক্ষেপ-আপনি অন্ধ!
আমার আক্ষেপ-আপনি শুনতে পান না!
আমার আক্ষেপ-আপনি বুঝতে পান না!
আমরা বাঁচতে চাই।শান্তি চাই।একটু ঘুমোতে চাই।
-রিফাত বিন নুরুল
১৬/১১/১৫
আইফেলের প্রজ্বলিত আলোয়, আমরা পাড়ি দিতাম সময়।
আজ-সেখানে গ্লাসে গ্লাসে পান করছে মৃত্যু, রক্তের ম্লান কণ্ঠস্বর।
মৃত্যুকে যারা ভালোবাসে তারা বরং প্যারিসে যাক-
দেখে আসুক কান্নারত শিশুর আর্তনাদ।
মৃত মায়ের স্তন পাড়িয়ে যাচ্ছে কত শকুন !
তারা বরং চোখ খুলে হাঁটতে পারে-
এতো মৃত্যু!তাদের ভালো লাগবেনা।
রক্তের স্লোগানে স্লোগানে ভেসে যাচ্ছে প্যারিস, কাঁদছে কবি!
আমরা বরং এই শোকে চার্চে প্রার্থনারত কান্না করতে পারি।
পৃথিবীতে হোক প্রবল বর্ষণ ,
শোকে সাতদিন কান্না করুক পৃথিবী।
হাসপাতালে এতো মৃত্যু!
হাহাকার আর আর্তনা্দের মুখ!
হিমোগ্লোবিনের বিষকরন ছড়িয়ে পড়েছে সমস্ত দেশে,
শহুরে চোখ গুলো তাকিয়ে আছে আকাশের দিকে!
কোথায় থাকেন ঈশ্বর?
খুজে বের করুন উনাকে!
মহামান্য প্রভু,
আমরা পৃথিবীতে শান্তি চাই।এক আত্মায় প্রান দিন সকলের।
আমরা বুলেট চাই না,
কবিতা চাই।
আমরা মৃত্যু চাই না,
আমরা বাঁচতে চাই, বাঁচতে চাই।
মৃত শিশুর মুখে মায়ের অশ্রু, বাবার কাঁধে সন্তানের লাশ
সন্তানের পাশে মৃত পরিবার!
ঈশ্বর,আপনি ভাবতে পারেন এমন দৃশ্য?
কি লাভ এতো ধর্মের?
এতো শিক্ষার?
এতো সংস্থার?
এতো প্রেমের?
এতো প্রযুক্তির?
আমি ভাবতে পারিনা,আমি চাইনা ভাবতে!
বস্ততঃআমাদের তো মনুষ্যত্ব নেই।মানুষ ব্যতীত অন্য প্রাণীর যতটুকু থাকে।
হে ধর্মাবতার,
দেখুন,আপনার পৃথিবী কেমন থাকে।
আমরা বুলেট চাইনা,
কবিতা চাই।
চাই,কোনো কবি লিখুক মানবতার কবিতা।
আহতের গাঁয়ে লিখে দিয়ে আসুক পৃথিবীসম আয়ু,
নিহতের গাঁয়ে লিখে দিয়ে আসুক স্বর্গের সুখ।
আমারা মৃত্যু চাই না।
এক মুঠো জীবন নিয়ে বাঁচতে চাই।
আমি কেনো লিখছি-!
আমি কি পারবো ফিরিয়ে দিতে নবজাতকের প্রান?
আমি কি পারবো ফিরিয়ে দিতে মায়ের হাসিমুখ?
আমি কি পারবো ফিরিয়ে দিতে প্রেমিক যুগলের প্রেম?
আমি কি পারবো ফিরিয়ে দিতে আলোময় সন্ধ্যা?
আমি কি পারবো ফিরিয়ে দিতে নিহতের প্রান?
হে মহামান্য,
আমার আক্ষেপ-আপনি অন্ধ!
আমার আক্ষেপ-আপনি শুনতে পান না!
আমার আক্ষেপ-আপনি বুঝতে পান না!
আমরা বাঁচতে চাই।শান্তি চাই।একটু ঘুমোতে চাই।
-রিফাত বিন নুরুল
১৬/১১/১৫
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন