এই ব্লগটি সন্ধান করুন

সোমবার, ৩০ নভেম্বর, ২০১৫

প্রেমিকার ভালোবাসা

তোমাকে ছুয়ে দেখার খুব ইচ্ছে জাগে আমার
ইচ্ছে করে-মরে যাবার আগে আরেকবার ভালবাসি।
এমন ইচ্ছে কি কেও করে!
ভাবছো- মিথ্যে বলছি?
আমি তোমাকে চুম্বন উপহার দিয়েছিলাম
যদি জানতাম-ওটাই হবে শেষ চুম্বন।
তাহলে শুষে নিতাম তোমার রসালো লালা,
কাঁমড়ে দিতাম তোমার শীতার্ত ঠোঁট।
যাতে চুম্বনের ইচ্ছে না জাগে আর।
আমি ভুলিনি প্রিয়তমা-
তোমার হাতের স্পর্শ,
শীতার্ত স্তন,
সমুদ্র গভীর নাভী।
আমি হারিয়ে গিয়েছিলাম
কোনো শীতের সকালে
প্রেমিকার সমুদ্র গভীর নাভীতে
কেও দেখেনি
খুজে পায়নি কেও আমাকে।
আমি নাভীতে ১২বার প্রদক্ষিণ করেছি,
কুড়িয়ে এনেছি-Gloomy Sunday!
যা আমাকে আত্মহত্যা শিখিয়েছিলো।
আমার নরকে ভয় নেই-
ভালবেসে আত্মহত্যা কয়জনই বা পারে।
আত্মহত্যাকে আমি প্রেমিকার ভালবাসা বুঝি।
শুনেছি কবিরা গভীর রাতে কবিতা লিখেন
অমাবশ্যায় ভ্রমনে যায়-
প্রেমিকার শরীরে।
মূলত-এসব প্রেমিকাই ভাগ্যবতী।
আমার প্রেমিকার সেই সৌভাগ্য হয়েছিলো-
বুঝতে পারেনি
চলে গেছে!
ঈশ্বর আমার পাঁজর দিয়ে তাকে বানায়নি
তাই সে মরে গেছে সতের বছর বয়সে।
আমার খুব ইচ্ছে ছিলো প্রেমিকার সাথে ভ্রমনে যাবো,
কবিতায় পাঠ করবো প্রেমিকাকে,
তা আর হয়ে উঠেনি।
ঈশ্বর কি ফিরিয়ে দিবে আমার প্রেমিকাকে সতের বছর বয়সে?
৮১টি চাঁদ দিয়ে বিয়ে করতে চেয়েছিলাম প্রেমিকাকে,
হানিমুনে যাবো ব্রোথেলে।
আমার ইচ্ছে ছিলো
প্রেমিকার ছিলো না।
বিষন্ন আকাশকে কাঁদতে দেখেছি তাঁর চোখে
আমি তাকাতে পারতাম না
মায়ায় পড়ে যেতাম।
এতো আলো!
ভয় পেতাম আমি।
আমি পূনর্বান প্রেমিক হতে পেরেছিলাম-
প্রেমিকার দেহের আবৃত্তি করেছিলাম বলে।
বিশ্বাস হচ্ছে না?
ঈশ্বরকে জিঙ্গাসা করুন
স্বাক্ষী রেখেছিলাম।
হে মহামান্য ধর্মাবতার
চুপ থাকবেন না
স্বীকার করুন।
হে মহামান্য প্রভু
আপনি জীবিত করুন আমার প্রেমিকাকে
ফিরিয়ে দিন তাকে সতের বছর বয়সে।
আমি ভালবাসতে চাই।
আমি প্রার্থনায় থাকি না
তবুও,
মসজিদে গিয়েছি,
মন্দিরে গিয়েছি,
গীর্জায় গিয়েছি,
কেও বলতে পারেনি-
আমার প্রেমিকা ফিরে আসবে কি না!
আমি কেঁদে ছিলাম খুব।
আমি বিশ্বাস করি-
ঈশ্বর আমাকে ভালবেসে ফিরিয়ে দিবে আমার প্রেমিকাকে,
সতের বছর বয়সেই।
কালপুরুষের কবিতায় পড়েছিলাম-
কমলাপুর থেকে স্বর্গে যাবার ভাড়া ৩৯৫টাকা
আমার কাছে ৩৯৫ টাকাই আছে
জমিয়েছি,বহু বছরে।
আমি স্বর্গে যাবো-
ফিরিয়ে আনবো আমার প্রেমিকাকে।
[প্রেমিকার স্বর্গে বিশ্বাস ]
একদিনের জন্য-
আমার মৃত্যু পূর্ববর্তী রাতে।
ছুয়ে দেখবো।
ভ্রমনে যাবো।


-রিফাত বিন নুরুল
০৩/১০/১৫

বিদ্রোহীর সৎকার

পথের শেষে-
জনস্রোতের শুরু।
ভাসমান আন্দোলনের সুর-
মুখে মুখে,
কাগজে কাগজে,
পত্রিকার শিরোনামে,
হাতে হাতে,
ব্যানারে ব্যানারে,
ফেস্টুনে ফেস্টুনে!
বিচ্ছিন্ন নগরীর উল্রাসহীন রক্তচোষা কুকুরকে
হটাবে বলে।
হঠাৎই বৃষ্টির মত বর্ষন
বন্দুকের গুলির
হাজার হাজার তরুন তরুনীর প্রাণ
ন্যানো সেকেন্ডেই বিধ্বস্ত।
কাঁপছে শহর,
কাঁদছে ভূমি,
বিদ্রোহীরা পিছপা হচ্ছিলো
এমন সময়
কে যেন
ঠিক বুঝে উঠার আগেই
আমি দেখতে পাইনি
কেও দেখেনি
শুধু শুনেছিলাম
বিশ্বাস করুন-
তিনটি বুলেটের আওয়াজ
পরপর!
সামনে এগুনো যাচ্ছিলো না
ব্যারিকেড ছিলো
কেউ একজন চিৎকার করে ছিল শুধু
আর বলেছিলো-
আমরা মুক্ত।
ব্যাক্তিটাকে আর দেখতে পায়নি কেও
পুড়ে গিয়েছিলো।
সবার মুখেই তখন শুনা যাচ্ছিলো-
বাহ্!বিদ্রোহীর চমৎকার সৎকার।
-রিফাত বিন নুরুল

আত্মহত্যার পথে- সমুদ্র স্নান

তুমি বলেছিলে –
সমুদ্র স্নানে যাবার আগে
আমাকে ভালবাসবে।
বিশ্বাস করো-
আমি অবাক’ই হয়েছিলাম।
সেদিনের পড়ন্ত বেলায় যখন
আমাকে স্পর্শ করেছিলে
বিশ্বাস করো প্রিয়তমা,
হৃদস্পন্দন অস্বাভাবিক হয়ে উঠেছিল
তোমরা যাকে-অ্যারিদমিয়া বলো।
শুধু একটি দিনের জন্য
-একটি দিনের জন্য
তুমি আমায় ভালবাসবে বলেছিলে
বিশ্বাস করো-
আমি অবাক হয়েছিলাম।
তুমি আমাকে ভালো না বেসেই
-ভালবাসবে
আমি বিশ্বাস করতে পারছিলাম না।
তোমার মনে আছে কি প্রিয়তমা
সেদিনের নদ কেমন ছিলো?
আমার মনে নেই
পত্র দিও,জেনে রাখবো।
আমি ভালবেসেছিলাম আকাশকে
চন্দ্র,নদী,পাহাড়কে
ঝর্নাকে সাগরে মিলিয়ে দিয়েছিলাম-
তুমি কি বিশ্বাস করবে?
প্রেমের আগেই চুম্বন
তুমি কি বিরক্ত হচ্ছো?
ভাবছো-বড্ড দুষ্টু।
আমি একবার ছুয়ে দেখতে চাই
তুমি কি মানুষ?
তোমার মাঝ কপালে একটু চুমু দিতে চাই
তুমি কি মানা করবে?
ভয় পেয়ো না-
আমার চুমুতে বিষ নেই।
আছে রসদ মাখা সাহিত্য।
এরপরেও কি ভয় পাবে?
আমার খুব জানতে ইচ্ছে করে-
ঈশ্বর কি প্রার্থনা করে?
ঈশ্বরেরও কি প্রেমিকা আছে?
উনিও কি কষ্ট পান আমাদের মতো?
হে মহামান্য ঈশ্বর,
আমি আত্নহত্যা করতে যাবো
আপনি কি অভিষাপ দিবেন আমাকে?
ঘৃনা করবেন?
নরকে পাঠাবেন?
আগুনে পোড়াবেন?
নরকে সাপ দ্বারা কামড় দেয়াবেন?
আমি সব মেনে নিবো।
কথা দিচ্ছি-
একটুও কাঁদবো না।
আমি যে ভাবতে চাই প্রভু-
আত্নহত্যার পথে-সমুদ্র স্নানে যাচ্ছি প্রেমিকার সাথে!!!


-রিফাত বিন নুরুল
০১/১০/১৫

কবিতাতেই মৃত্যু হোক জীবনের!

https://reefathdotme.wordpress.com/

রবিবার, ২৯ নভেম্বর, ২০১৫

শনিবার, ২৮ নভেম্বর, ২০১৫

প্রাক্তন প্রেম

মনের অন্দরে ময়লা পড়া তোমার ছবি
তোমার মৃদু হাসিটাও আজ শুকিয়ে বিবর্ণ
সরকারী উলন্গ বাতির নিচে দাড়িঁয়ে
হয়তো এটাই ভাবছে আমার অস্তিত্ব
খুব কাছ থেকেই মাটি চাপা দিয়েছো ভালবাসা
আড়ালের নোনা জলে ভিজে একাকার
তোমার ক্লান্ত মনের রাস্তা!!!!
এতোদিন পরে এসেও ভালো আছো তো???
খুব জানতে ইচ্ছে হয় আমার।
সেদিনের দিনটিকে হয়তো ভুলে যেতে চাইবে তুমি
হয়তো আমিও.....
তবুও মনে রেখেছি তোমাকে
আমার কবিতার প্রতিটি কথায়।।।
 
-রিফাত বিন নুরুল

কবির প্রেম

ব্যাকরন থাক;
কবিতায় কবিতায় প্রেম হোক।
     -রিফাত বিন নুরুল

রক্তাক্ত স্মৃতির পরিবহণ ক্যানভাস

সূর্যের মৃত্যু দেখতে চাই আমি সমুদ্রে, 
যেভাবে প্রেমিকা মৃত্যু বরন করে পানশালায়
-গ্লাসে গ্লাসে।

*         

চিয়ার্স বলে শুরু করা;
আর হয়ে উঠে না আমার।
-প্রেমিকার মুখ মনে পড়ে যায়।
*

আমি মৃত্যু চাই,
পান করতে চাই নরকের অমৃত!

*

ট্রেনে চেপে ভ্রমনে যেতে চাই প্রেমিকার বুকে,
২৮বৎসর বয়সে;বিষন্ন রবিবারে।

*

বুকের লোমকূপে আজ বিশ্রী গন্ধ;
প্রেমিকার শোকে!!!

*

লাল হলুদের ভীড়ে আমি এক বিবর্ন নীল
কংক্রিটের চার দেয়ালে আমি পরিত্যক্ত কবি
এবং কাক
দুজনেরই আজ নিজেকে কষ্ট দেয়ার আনন্দ.....

*

আমার কবিতা গুলোকে ফরাসি মদ ভেবে পান করো,
ব্রোথেলে যাবার আগ মুহূর্তে।
কথা দিচ্ছি-প্রেমিকার মুখ মনে পড়বে না।

*

আমি গিলে খাবো প্রেমিকার কবর,
ব্রোথেলে যাবার আগে।

*

আমার মৃত্যু পূর্ববর্তী রাতে দেখতে চাই-
প্রেমিকার মৃত মুখ।

*

কবিতা-
এ যে পাপ(!)
ঈশ্বর,আমাকে মৃত্যু দিন।

*

তুমি আসবে-
এই ভেবেও স্নান করি রক্তে!
শুদ্ধ হই।

*

কবিতার মা ভিন্ন হতে পারে;
কিন্তু পিতা একজনই-'কবি'।

*

ল্যামপোস্ট নতজানু-
প্রার্থনায় থাকে আমার জন্য;
তবুও ঈশ্বর আমার দিকে তাঁকায় না!

*

গনতন্ত্র বুঝি না;
বাংলাদেশ বুঝি(!)
_মানচিত্রের শেষ কোথায়?!

*

কবি,আপনি প্রেমিক নন!
*

নির্ঘুম রাত জাগা গুলো কাটে Gloomy Sunday এবং Fossils কে শুনে শুনেই।
প্রভাত স্নানের পর যদি ঘুম আসে-তবুও মঙ্গল।
*

পৃথিবীর অষ্টম আশ্চর্ষ-
-প্রিয়তমার তিল।
*

তুমি মেঘ হলে আমি বৃষ্টি হবো;
-ধূয়ে দিবো তোমার ক্লান্ত দেহ।

*

পূনর্বান প্রেমিক তারাই-
যারা প্রেমিকার দেহের আবৃত্তি করতে পারে।
*

আমাদের স্মৃতির সময়টুকু ফ্রেমেই আটকে থাকে,
ভবিষ্যতের জন্য এ্যালবামে বন্দি করে রাখলাম।
যাতে চোখে পানি আসে।

*

আমি এবং আমার কবিতা;
দুজনেই মৃত-
একমাত্র তোমার কাছেই!
*

আমি ভ্রমনে যেতে চাই;
-তোমার পা থেকে মাথা পর্যন্ত।
-তুমি কি অবাক হবে?

*

এই ঘরে আর আলো এলোনা;
সিড়িতেই থেমে গেলো।
*


আতকে উঠে হৃদয়,
হেসে উঠেন ঈশ্বর,
এই বুঝি প্রেমিকার ও মরন হবে।


মৃত্যু মৃত্যু খেলা,
বেঁচে উঠার কোনো তাগিদ নেই
যেনো স্বর্গে যাচ্ছে ওরা!


ঘড়ির কাটায় ১২. ১ মিনিট
ফাঁসির কাষ্টে দাঁড়িয়ে প্রাত্তন প্রেমিক
কি অদ্ভুদ,আশ্চর্ষ রকমের যন্ত্রনার মুখোমুখি।

*

আমি কবি;
তুমি আমার কবিতা।
*

তোমার ঠোঁট, জিহ্বা,স্তন এবং কি
তোমার সমস্ত যৌবন;
আমি স্পর্শ করেছি,হারিয়েছি গভীরে।
আর তোমার যোনী পথে রেখে এসেছি,
আমার কবিতা-সংগম।
*

প্রত্যেক প্রেমিকাই ভালবাসে দৈহিক চাহিদা;
কোনো কবির কবিতাকে নয়!!!

*

ভায়োলিন আর বাশির সুর;
প্রেমিকার কন্ঠের চেয়েও মধুর।
*

ভায়োলিন,
এ কি করুন বেদনার নাম?
কতটা আক্ষেপ, নীল নীল কাতরতা(!)
বিষন্ন মনের বহিঃপ্রকাশ,
এর জন্ম কোথায়!
প্রভু;
আমি জানতে চাই,
আমি বারবার আত্মহত্যা করতে চাই,
১কোটি ১৮লক্ষ ৯৯হাজার ৭৭২জন মানুষের-
প্রিয় সুর শুনে।

*

আমি তোমাকে কলমের শীষে রাখতে চাই,
লিখতে চাই তোমাকে;
তুমি কি আমায় ভালবাসবে?
*

একটা উপন্যাস লেখার ইচ্ছে আছে,
যেখানে থাকবে তুমি,আমি এবং ঈশ্বর।
*
তোর চোখের জল জন্ম দেয় অসংখ্য কবিতার,
তবুও আমি লিখতে পারিনা!!!
*

আপনি নিশ্চই মানুষ,
দেবতা হলে জিউসের মতো এমালথিয়ার দুধ খেতে পারতেন।

*

তুমি ঘুমিয়ে থাকো;
আর আমি-বারবার জেগে উঠি প্রবল ঘৃনায়।
*

আমি স্পর্শ করতে চাই প্রেমিকার যৌবন,
স্তন এবং ভেংচি কাঁটা ঠোঁট;
আমি সৃষ্টি করতে চাই তোমাকে।
*

এই বর্ষনে,এই শ্রাবনে ভেজাও তোমার শরীর,
পরিশোধিত হও,জন্ম হয় আবার।
*

কবিতায় কবিতায় বেঁচে থাকো তুমি,
হে প্রিয়তমা আমার,,,,!!!

*

আমি বোধহয় সত্যিই মরে যাবো।
না হয় কেনো,প্রতিদিনই ঘুমের মাঝে তিনবার করে আত্মহত্যা করি???!
*

তুমি কবিতা হয়ে লুকিয়ে থাকো ঐ চাঁদে,
আমি কবি হয়ে তোমাকে লিখব।।।
*

আমাকে নরকে পাঠানো হোক,
কেননা আমি দেখতে চাই আমার প্রেমিকা
সেখানে কেমন আছে!!!
*

ক্লান্তির আত্মহত্যা অবশেষে স্বস্তি দিলো শহুরে কবিকে,,,,
জরাজীর্ণ কিছু বাস পৌছে দিলো গন্তব্যে
তোমাদেরই রাজধানীতে।।।
*

স্বাধীনতার সংগ্রাম কি ফেলানীতেই পরাজিত...!!!
*


সচেতন শরীরে অসুস্থ কবিতা
ধূসর কালো আর কিছু নীলে,,,,

*

লোকাল বাসে জীবন যাচ্ছে সূদুর,
প্রিয় মুখের পদতলেই হয়তো দ্বিতীয় মৃত্যু।
*

তারাটাকে চিনে রাখো টুকটুকি,,,
মারা যাবার পর আমি ঐখানেই চলে যাবো,
ঐখান থেকেই রোজ তোমার সাথে আমার দেখা হবে।।।

*

'অধিকার চেয়ে নয়,অধিকার আদায় করে নিতে হয়'
___বলেছিলো শহুরে কবির প্রেমিকা সুস্মিতা।

*

হতাশার মোড় ভেদ করে চলেছি
লাভ স্কয়ারের দিকে
লাল গালিচা মাড়িয়ে,
উদ্দেশ্য প্রেমিকার উষ্ণ চুম্বন।
নীল কন্ঠ ভালবাসার জন্য, 
ভাঙ্গা পিরিচে উষ্ণ অভ্যর্থনার আয়োজন।
অন্দরের খেলা চলে,
চলে শীতাতপ প্রেমালাপ,
চলে বহিঃপ্রকাশ প্রথাগত মস্তিষ্কের।
বসবাস সমাজের,জীবনের মানে
চাওয়া জীবনের কাছেই!
কঠোর আইনের বেড়াজাল,
তবুও সংশয়হীন,
তাদের উষ্ণ ভালবাসার আয়োজন।
*

কবির  স্বর্গীয় খাতা পৃথিবী এবং প্রিয়তমা।

*

বিবেকের বোতাম খুলে দেখি রক্তাক্ত প্রান্তর।
প্রথাময় করিডোর সংকটে নাগরিক জীবন তোমার।
ব্যস্তময় শহরে তুমিও ক্লান্ত জীর্ন
যৌবনের তীব্র টানে।
দেয়ালের ওপারে লেখা আছে-
'সাবধান'
ক্ষয় হয়ে যেতে পারে শরীর।
তবুও কারো হুশ নেই।
*

অবহেলিত ভালবাসা পড়েছিলো প্রেমিকার ঠোঁটে
যা বলে দিয়েছিলো কোনো আত্নকাহিনী
এক নির্মম চিত্‍কারে।।।
*

তোমার দেয়া আঘাতে বৈশাখের প্রথম দিনটাও রক্তাক্ত স্মৃতির পরিবহন ক্যানভাস।রাজপথের অগ্নিঝরা মুকুলেও তোমাকে হারানোর আকুল প্রয়ান।
তবুও বলতে হয়-
পহেলা বৈশাখের শুভেচ্ছা।
*

"তোমার গভীর নিঃশ্বাস,শরীরের গন্ধ
আজ আমার কলমের কালো রঙ্গ
গভীরতম মিথ্যা সেই ভালবাসা
ভেসে উঠে উলন্গ বাতির আলোয়"
*
এইতো সেদিন রক্তের উচ্ছাসে ঢেকে গিয়েছিল সমস্ত শরীর
বাস্তব জগত্‍ পিছনে ঠেলে গিয়েছিলাম পুরনো বাড়িটায়
তোমাকে ফিরিয়ে আনবো বলে......
আলতো স্পর্শেই কপাট খুলে গেলো
চেয়ে দেখি তুমি ক্লান্ত ঘুমে
তাই আর ডাক দেইনি-
বিশ্বাস করো,সত্যিই ফিরিয়ে আনতে গিয়েছিলাম তোমায়।।।

*


মনের অন্দরে ময়লা পড়া তোমার ছবি
তোমার মৃদু হাসিটাও আজ শুকিয়ে বিবর্ণ
সরকারী উলন্গ বাতির নিচে দাড়িঁয়ে
হয়তো এটাই ভাবছে আমার অস্তিত্ব
খুব কাছ থেকেই মাটি চাপা দিয়েছো ভালবাসা
আড়ালের নোনা জলে ভিজে একাকার
তোমার ক্লান্ত মনের রাস্তা!!!!
এতোদিন পরে এসেও ভালো আছো তো???
খুব জানতে ইচ্ছে হয় আমার।
সেদিনের দিনটিকে হয়তো ভুলে যেতে চাইবে তুমি
হয়তো আমিও.....
তবুও মনে রেখেছি তোমাকে
আমার কবিতার প্রতিটি কথায়।।।

*

অপুর মতো আমিও এফ এ পাস করিয়া বিয়ের লগ্ন পেরোনোর আগেই তোমাকে নিয়ে পলামু,
আমি চাইনা প্রেম বিদ্রোহী বাবা মার সাথে থেকে তোমার জীবনটা নষ্ট হয়ে যাক।

*

তোমার সেই কালো দুটি চোখ,কালো ঘন কেশ,মুখের মৃদু হাসি আর মৃত ভালবাসার উষ্ণতা এখনো ভুলতে পারিনি আমি!

*

তোমার মাড়িয়ে যাওয়া পায়ের ছাপ,এখনো দাগ কেটে আছে আহত মনে!

*

আমি ভালোবাসা খুজে ফিরি ব্যস্ত
শহরে,
হাজারো অজানা অচেনা কল্পনায়।

*

নিজেই নিজের অনুভূতি গুলো ব্যবচ্ছেদ করেছি।আর এই ভষ্ম জীর্ণ শীর্ন দেহের পোষ্টমর্ডাম তুমি করে যেয়ো প্রিয়া।তাহলে হয়তো বুঝতে পারবে আমি একজন ছিলাম।
আর এটাও জেনে রেখো,আমি তোমারি আছি,থাকবো।
*

আমি চাইলেও তোমাকে ভালবাসতে পারিনা।কারন তুমি আমায় ভালবাসো না।
তবে জেনে রেখো,আমার সব বাক্য তোমাকে লক্ষ করেই!

*

প্রার্থনার ক্যাপসন দিতে দিতেই যুদ্ধ থেমে গেলো পাজরের!

                               -রিফাত বিন নুরুল